ক্রীড়া ডেস্ক
বাংলাদেশ সময়ে সন্ধ্যা ৫টা ৫৯ মিনিট, কাতারের মাটিতে ইরান বনাম ওয়েলস ম্যাচের ফলাফল সকলেই ড্র হিসেব করে ফেলেছে। কারণ ম্যাচের ৯০ মিনিট শেষ হয়ে অতিরিক্ত ১২ মিনিটের ৮ মিনিট শেষ। ৯ মিনিট চলছে, এমন সময় ওয়েলসের বড় ডি-বক্সের বাইরে থেকে ইরানী মিড ফিল্ডার ১৫ নম্বর জার্সিধারী রোজবি চিসমি ডি-বক্সের ভেতরে জটলা থেকে কিক নিলে গোলরক্ষক পরাস্ত হলেন, পুরো স্টেডিয়াম স্তব্ধ, ওয়েলসের দর্শকরা কথা বলতে ভুলে গেছে (১-০)।
মিনিট খানেক বাকী ম্যাচ শেষ হতে। নিশ্চিত ড্র হয়ে যাওয়া ম্যাচে হেরে যাচ্ছে ওয়েলস! এমনই সময় আরো বড় ধাক্কা অপেক্ষা করছিল ওয়েলসের জন্য। কারণ অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে ইতিহাস রচনা করে ইরানী ২৩ নম্বর জার্সিধারি রামিন ডি-বক্সের ভেতরে বল পেয়ে ওয়েলসের ডিফেন্স বার গোলরক্ষকের হাত ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠালে হতভম্ব হয়ে পড়ে ওয়েলসের সমর্থকরা (২-০)। ম্যাচে ফেরার কোন সুযোগই ছিল না ওয়েলসের জন্য। কারণ কয়েক সেকেন্ড পরই তো রেফারি শেষ বাঁশি বাঁজিয়ে দিলে ইরান বিশ্বকাপ প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়ে গেল।
বিশ্বকাপের আসরে ইরান প্রত্যাশা মতো খেলতে পারেনি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত হবার পর আজ সন্ধ্যায় ওয়েলসের বিপক্ষে সমান তালে খেলে ড্র করে মাঠ ছাড়ার জন্য যখন সকলে প্রস্তত, তখনই অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে ২ মিনিটে দুই গোল পেয়ে গেল ইরান! হতবাক করা এক ম্যাচ দেখল বিশ্ব ফুটবর।
অথচ পুরো ম্যাচে তুলনার বিচারে ইরানের চেয়ে বল দখলের লড়াইয়ে ওয়েলস এগিয়ে ছিল। চাপে রেখে ছিল ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে ১৯তম দল ওয়েলস। আর ২০তম দল ইরান আক্রমণ আটকে কাউন্টার এ্যাটাকে গিয়েছে। পুরো ম্যাচের ৯০ মিনিটে গোল হবার মতো কোন ঘটনা হয়নি।
বি গ্রুপে ইংলিশরা ১ ম্যাচে জিতে ৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ দল। আর ওয়েলস পর পর দুই ম্যাচের ১টিতে ড্র আর ১টিতে হার নিয়ে১ পয়েন্ট। অন্যদিকে ইরান ২ ম্যাচে ১ হার ও ১ জয়ে ৩ পয়েন্ট।
সূত্র : ফিফা